আপনি বা আপনার কাছে কেউ কি কানে কম শোনেন?

কানে কম শোনা একটি সাধারণ এবং প্রভাবশালী স্বাস্থ্য সমস্যা যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। এটি প্রাকৃতিক বার্ধক্যের অংশ হিসেবে, বা কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার পরিণতিতে, যে কারো ক্ষেত্রে ঘটতে পারে। কানে কম শোনা শুধু একজন ব্যক্তির শ্রবণ শক্তিকে নয়, বরং তাদের সামাজিক ও মানসিক অবস্থার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে।


কানে কম শোনার প্রধান কারণগুলির মধ্যে রয়েছে:

বার্ধক্য: বয়স বাড়ার সাথে সাথে শ্রবণশক্তি প্রাকৃতিকভাবে হ্রাস পায়। এটি বিশেষ করে ৬০ বছরের উপরে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে দেখা যায়।

উচ্চ শব্দের সংস্পর্শ: উচ্চ শব্দে দীর্ঘ সময় ধরে থাকার ফলে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি যেমন উচ্চ ভলিউমে সংগীত শোনা, বা উচ্চশব্দের কর্মক্ষেত্রে কাজ করার মাধ্যমে হতে পারে।

ইনফেকশন এবং অসুস্থতা: কানের সংক্রমণ, মেনিয়ার রোগ, এবং অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতা কানের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

ঔষধ: কিছু ঔষধ কানের ক্ষতি করতে পারে যা অটোটক্সিক হিসাবে পরিচিত।

জেনেটিক্স: কিছু লোকের পরিবারে কানে কম শোনার সমস্যা থাকতে পারে, যা বংশানুক্রমিক হতে পারে।


কানে কম শোনার কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যেমন:

কথোপকথনে অন্যদের বুঝতে অসুবিধা হওয়া, বিশেষ করে ব্যাকগ্রাউন্ড শব্দ থাকলে।

বারবার অন্যদেরকে কথা পুনরাবৃত্তি করতে বলা।

টেলিভিশন বা রেডিওর ভলিউম খুব উচ্চ করা।

কানে ঘণ্টা বাজা বা টিনিটাস।

কানে কম শোনার সমাধান ও সহযোগিতা


কানে কম শোনার সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে বা এর প্রভাব কমাতে বিভিন্ন সমাধান এবং সহযোগিতা পাওয়া যায়:

হিয়ারিং এইড: এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা কানের ভিতরে রাখা হয়। এটি শব্দের ভলিউম বৃদ্ধি করে এবং শ্রবণশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে।

কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট: যখন হিয়ারিং এইড যথেষ্ট না হয়, তখন কক্লিয়ার ইমপ্লান্ট একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। এটি সার্জারি করে স্থাপন করা হয় এবং সরাসরি শ্রবণ স্নায়ুর সাথে কাজ করে।

লিপ রিডিং এবং সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ: কানে কম শোনা ব্যক্তিরা লিপ রিডিং এবং সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে তাদের যোগাযোগের দক্ষতা বাড়াতে পারেন।

থেরাপি এবং কাউন্সেলিং: শ্রবণ সমস্যার মানসিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে থেরাপি এবং কাউন্সেলিং সহায়ক হতে পারে।


কানে কম শোনা প্রতিরোধ করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, যেমন:

উচ্চ শব্দ থেকে কান রক্ষা করা।

নিয়মিত কানের পরীক্ষা করানো।

ঔষধ গ্রহণের সময় সতর্ক থাকা।

কানে কম শোনা একটি সাধারণ কিন্তু গুরুতর সমস্যা হতে পারে। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া এবং চিকিৎসা গ্রহণের মাধ্যমে এর প্রভাব কমানো যেতে পারে এবং একজন ব্যক্তির জীবনের মান উন্নত করা সম্ভব।


Our Social Links:

Facebook: https://www.facebook.com/DigitalHearingAidBD/

YouTube: https://www.youtube.com/@DigitalHearingAidBD

Instagram: https://www.instagram.com/digitalhearingaidbd/

Developing By DHAKA SOFT IT